সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি

সার্বিক উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো দারিদ্র্য একটি প্রধান সমস্যা। তাই সামাজিক ও ভৌগোলিক উন্নয়নের মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন বর্ধিত জনগোষ্ঠীর জন্য ২০১২ সাল থেকে সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে ০৯টি জেলার ১০টি উপজেলায় আইডিপি কর্মরত রয়েছে। সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি উপলদ্ধি করে, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকা যেমন হাওর, চরাঞ্চল এবং উত্তর পশ্চিম অঞ্চলের আদিবাসী মানুষদের মধ্যে বহুমাত্রিক দারিদ্র বিদ্যমান। আইডিপি কর্মসূচি নারীর ক্ষমতায়ন, বিভিন্ন মৌলিক সেবা নিশ্চিতকরণ, জীবিকার উন্নয়ন, সুযোগ সৃষ্টি ও সম্পদ হস্তান্তরসহ বহুবিধ সেবা প্রদান করে।

সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচির লক্ষ্য হলো ২০২০ সালের মধ্যে হাওর এলাকার ১.১ মিলিয়ন দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা ও জীবনজীবিকার মান উন্নয়ন। ২০১২ সাল থেকে নানান গবেষণার পর আনুষ্ঠানিকভাবে  প্রথম পর্যায়ে জানুয়ারি ২০১৩ থেকে ‘হাওর প্রকল্প’ কাজ শুরু করে। বর্তমানে (ওউচ) দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অদ্যাবধি হাওরের ৭৫% জনগণ সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় সেবা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের গ্যাসক্ষেত্রের আশেপাশে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জন্য (ওউচ)’র অধীনে  ২০১৫ সাল থেকে কর্পোরেট অংশীদারত্বের ভিত্তিতে শেভরন এর সঙ্গে ‘জীবিকা’ প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে। পাশাপাশি সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় আদিবাসীদের জন্য জুলাই ২০১২ সাল থেকে পরিচালিত হচ্ছে ‘ইন্ডিজেনাস পিপলস্ প্রজেক্ট-(ওচ)। কর্ম এলাকায় আইডিপির সর্বমোট ৩৮৩৬টি ভিডিও (ঠরষষধমব উবাবষড়ঢ়সবহঃ ঙৎমধহরংধঃরড়হ-ঠউঙ ) রয়েছে। প্রতিটি ভিডিওতে ২৫-৪০ জন নারী সদস্য অংশগ্রহণ করে থাকেন। এর মধ্যে ১০৬টি জীবিকা ভিডিও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমবায় অধিদপ্তরের অধীনে নিবন্ধিত হয়েছে। সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি এখন পর্যন্ত ১৯১২৮৮টি পরিবারের ৯৭১৫৮৬জন দরিদ্র ও অতি দরিদ্র মানুষকে সেবা প্রদান করছে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচির পরিচালনাধীন স্কুলের শিক্ষার্থীদের শতকরা পাসের হার ৯৯.৫%।

Will you be the first with a medal?